Adding to cart…

There are no more items in your wishlist

Continue shopping

There are no more items in your cart

Continue shopping
 
blog

ভিপিএন কেন দরকার??

ভিপিএন(VPN) কি?
Virtual Private Network বা VPN। এটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের একটি রাউটিং প্রসেস যাতে আপনি কোন সার্ভারের সাথে সরাসরি কানেক্টেড না থেকে অন্য একটি সার্ভার হয়ে আসল সার্ভারের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। এতে করে যে কোন দেশে ব্লকড ওয়েবসাইটস এবং সার্ভারের সাথে কানেক্ট হতে পারবেন। এছাড়া ভিপিএন ইউজের অন্যতম সুবিধা হলো, আপনার ইন্টারনেট ডাটাকে এনক্রিপ্ট করে সুরক্ষিত রাখা। বিশেষত পাবলিক ওয়াইফাই জোনে যে কোন এক্সপার্টই পারবে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউসিং ট্র্যাক করতে। এছাড়া আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপিও আপনাকে মনিটরিং করছে। এ থেকে বাচার উপায় হলো ভিপিএন।

ভিপিএন কেন দরকার?
ধরুন, আপনি স্পটিফাই ব্যবহার করবেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে স্পটিফাই সার্ভিস ব্যবহার করা সম্ভব না কারন বাংলাদেশে এই সার্ভিস চালু নয়। এক্ষেত্রে ভিপিএন দিয়ে এই সার্ভিসটি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে যে কোন দেশের সরকার দেশের অবস্থাভেদে সোশ্যাল সাইটসগুলো বন্ধ করে দিতে পারে। এইসব সাইট আনব্লক করার একমাত্র সমাধান হলো ভিপিএন।

এছাড়া অনেক অফিসিয়াল কাজেও ভিপিএন ব্যবহার করা যায়। অনেক গুরুত্বপুর্ন কাজ ভিপিএন দিয়ে করলে হ্যাকারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।


ভিপিএন কিভাবে কাজ করে?

যখন ভিপিএন দিয়ে একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা মোবাইলকে সংযোগ করা হয় তখন ডিভাইসটি ভিপিএন সার্ভারের সাথে কানেক্ট হয়ে যায় এবং ভার্চুয়ালি একটি নেটওয়ার্ক তৈরী করে যেটি শুধুমাত্র আপনার ডিভাইসের জন্যই। এই জন্যই একে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বলা হয়। আপনার সমস্ত ইন্টারনেট ট্রাফিক তথা ব্রাউসিং, ডাউনলোড, সার্ভার কানেকশন সবই ভিপিএন এ কানেক্টেড থাকা সার্ভারটি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ভিপিএন এমন একটি কাজ করতে সক্ষম যাতে আপনি বাংলাদেশে থেকেও ইন্টারনেট মনে করবে আপনি ভিপিএন কানেকটেড সার্ভারের দেশে আছেন। এতে করে পাবলিক ওয়াইফাই জোনে গিয়ে আপনি আপনার ব্রাউসিং যেমন সুরক্ষিত রাখতে পারবেন তেমনি নেটফ্লিক্স, হুলু, স্পটিফাই এর মত সার্ভিস গুলো আপনি দেশে বসে ব্যবহার করতে পারবেন।

কারন আপনি যখন ভিপিএন কানেক্টেড অবস্থায় থাকবেন তখন আপনার কম্পিউটারটি যে কোন ওয়েবসাইট এনক্রিপ্টেড ভিপিএন কানেকশনের মধ্য দিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ভিপিএন আপনার কম্পিউটার এবং যে ওয়েবসাইটের সাথে আপনি কানেক্ট করবেন দুয়ের মধ্যে একটি সিকিউর কানেকশন হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই জিও লোকেশন হাইড করে ব্লকড ওয়েবসাইট এবং সার্ভিস ব্যবহার করা সহজ ভিপিএন দিয়ে।

কিভাবে ভিপিএন ব্যবহার করবেন এবং কোন ভিপিএন ভালো?

বর্তমানে ফ্রী ভিপিএন সফটওয়্যারের অভাব নেই এবং বেশিরভাগ ভিপিএন সার্ভিস নিতে হলে একটা একাউন্ট খুলে নিতে হয় ঐসব ভিপিএন ওয়েবসাইটগুলোতে। এর পরে রেজিস্টার্ড সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করলেই হয়ে যায়। আবার কিছু ভিপিএন যেমন মাইক্রোসফট ওয়েবস্টোরে থাকে Touch VPN এ কোন একাউন্ট খোলার প্রয়োজন পড়ে না। এপ স্টোর থেকে এপটি ইন্সটল করে কানেক্ট করলেই হয়ে যায়।

তবে এই ফ্রী ভিপিএন সফটওয়্যারে সব দেশের সার্ভার থাকে না। এছাড়াও কিছু ভিপিএনএ একটি নির্দিষ্ট পরিমান ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের পর তারা পেইড সার্ভিস ব্যবহারের জন্য আপনাকে ফোর্স করতে পারে।
প্রিমিয়াম ভিপিএন-এ সুবিধা হলো তাদের কানেকশন প্রসেস আরো বেশি সিকিউর এবং এক্ষেত্রে পেইড ভিপিএনগুলো আপনাকে সর্বোচ্চ পরিমাণে ইন্টারনেট সিকিউরিটি দিতে সক্ষম।
এছাড়া পেইড ভিপিএন-এ প্রায় সব দেশের সার্ভারে কানেক্ট হতে পারবেন এবং প্রিমিয়াম ভিপিএন-এ ডাটা লস হবার সম্ভাবনা কম থাকে।

কিছু জনপ্রিয় ভিপিএন সফটওয়্যারের নাম হলো- NordVPN, IVACY, Private Internet Access, TunnelBear, Hotspot Shield VPN, CyberGhost, Surfsark, IPVanish VPN, TorGuard, Symantec Norton Secure VPN, ExpressVPN, Proton VPN, Windscribe. Private Tunnel, SurfEasy.

এসব ভিপিএনের মধ্যে কিছু ভিপিএন ফ্রী সার্ভিসের পাশাপাশি পেইড সার্ভিসও দিয়ে থাকে।

Category:
Share: